বাংলা বইয়ের সাথে আমার যোগ এককালে ছিল অক্ষুন্ন | বাড়িতে ছিল লাইব্রেরী, শহরের সবচেয়ে বড় বাজারে ছিল আমাদের পারিবারিক বইয়ের দোকান, যেখানে অধকাংশ বইই ছিল বাংলা বই | পৈতৃক ব্যবসা বইয়ের ছিল বলে ছোটবেলা থেকেই বাড়িতে বইয়ের সম্ভার দেখে এসেছি | বছরের সবচেয়ে ব্যস্ততম সময় ছিল ‘সিজন’ এর সময় যখন ছাত্রছাত্রীরা এক শ্রেণী থেকে উচ্চতর শ্রেণীতে উঠতো এবং সেই সময় আমাদের বাড়িতে আনাগোনা হতো কলকাতার বইপাড়ার মানুষদের | ওরকম গম্ভীর, ভারিভারিক্কি মানুষদের থেকে আমি একটু দূরেই থাকা পছন্দ করতাম, কিন্তু আমার দাদু এবং বাবা-কাকাদের সাথে ওনাদের বইসংক্রান্ত আলোচনা শুনতে আমার বড্ড ভালো লাগতো |

বাড়ির বড়দের মুখে তখন প্রায়ই শুনতে পেতাম একটা শব্দ, ‘ক্যানভাসিং’ | একদিন সাহস করে দাদুকে জিজ্ঞেস করে ফেললাম, ক্যানভাসিং মানে কি? দাদু হেসে বললেন, এই যে সিজন এর সময় কলেজ স্ট্রিট থেকে অনেকে আমাদের বাড়িতে আসেন এবং বিভিন্ন পাঠ্যবই পড়তে দেন সঠিক এবং শ্রেষ্ঠ বই বেছে নেওয়ার জন্য, এই ব্যাপারটাকেই আমরা ক্যানভাসিং বলি | দাদুর কাছ থেকে শোনার পর আমার আগ্রহ আরো বেড়ে যায় | এই বইপাড়ার মানুষগুলোর প্রতি কৌতূহল নিয়ে আমি ঘন্টার পর ঘন্টা তাকিয়ে থাকতাম আর অধীর আগ্রহে বইসংক্রান্ত আলোচনা শুনতাম | টুকরো টুকরো কথা কানে আসতো, দাদু বলতেন এই বইটা ভালো নয় ওই বইটা ভালো, এই বইটার লেখার মান ভালো না ওই বইটার ভালো, এসব শুনতাম আর ভাবতাম আমি তো শুধু বই পড়ি, কিন্তু আমার দাদু কি সুন্দর বইগুলোর বিশ্লেষণ এবং সমালোচনা করেন!

আমার ছোটবেলার সেই স্মৃতি আবার জাগ্রত হয়ে ওঠে কয়েক মাস আগে | ইঞ্জিনিয়ারিং এর সময় থেকেই আস্তে আস্তে দূরে যেতে শুরু করেছিলাম বাংলা বইয়ের থেকে, আর একটা সময় আমি আবিষ্কার করি আমি আমার প্রিয় মাতৃভাষার থেকে অনেক, অনেক দূরে চলে গেছি | তখন আমি মনে প্রাণে চাইছিলাম যদি কোনোভাবে আমি আমার মধ্যে দিব দিব করে জ্বলতে থাকা এই ইচ্ছেটাকে প্রশ্রয় দিয়ে নিজেকে আবার বাংলা সাহিত্যের কাছাকাছি নিয়ে আসতে পারি |

মা কখনো তার সন্তানদের খালি হাতে ফেরান না | আমার মাতৃভাষার কাছে মনে মনে যে প্রার্থণা করেছিলাম, একদিন সত্যি সত্যি সেই ইচ্ছেপূরণ হলো! আর সেই মনস্কামনা পূরণের যাত্রা শুরু হলো যাদের হাত ধরে, তারা হলো একটা বইপ্রেমীদের দল, যার পোশাকি নাম ‘পাঠকের দপ্তর’ |

যদি আপনিও আমার মতো খুঁজে চলেছেন এমন একটি জায়গা যেখানে বই নিয়ে আড্ডা দেওয়া যায়, বইয়ে বয়ে চলা যায় স্রোতের পর স্রোত, এবং খুঁজে পাওয়া যায় বাংলা সাহিত্যের মণি-মানিক্য, এমন একটা ‘দপ্তর’ যেখানে কিছু বইপ্রেমী মানুষ যারা অত্যন্ত সুন্দরভাবে তাদের পঠন-পাঠন নিয়ে আলোচনা করেন, স্বাধীনভাবে তাদের মতামত প্রকাশ করেন এবং অবশ্যই গঠন-মূলক সমালোচনায় এগিয়ে নিয়ে যান বাংলা সাহিত্যের অনন্ত যাত্রা, তাহলে আপনার সন্ধান শেষ হবে ‘পাঠকের দপ্তর’ নামক স্থানে, যেখানে শুধু আদ্যপান্ত বইপ্রেমীদেরকেই আপনার চোখে পড়বে, যারা আপনাকে খোঁজ দেবে অনেক ভালো ভালো বাংলা বইয়ের, এবং আপনাকে সহযাত্রী করে এগিয়ে নিয়ে যাবে বাংলা সাহিত্যের অনন্ত যাত্রায় |

শুধুমাত্র একটি বুকক্লাব নয়, পাঠকের দপ্তর পাঠক-লেখক-প্রকাশকদের এক মিলন উৎসব, যেখানে সকলের মিলিত প্রয়াসে চলে সারাবছরব্যাপী এক উৎযাপন | আর এই উদযাপনের স্থান পরিণত হয় একটি বইয়ের আখড়ায়, যে আখড়ার নাম হলো ‘পাঠকের দপ্তর’ |

কিছুদিন আগে আমার পাঠকের দপ্তরের একটি সাক্ষাৎকার নেওয়ার সুযোগ হয়, এবং সেখানে উঠে আসে তাদের যাত্রাশুরুর কথা, তাদের প্রাক্তন এবং বর্তমান এডমিন্সদের কথা, তাদের গ্রূপের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা | সম্প্রতি দীপাবলির শুভ অবকাশে প্রকাশ পেয়েছে পাঠকের দপ্তরের নতুনতম উদ্যোগ, তাদের ম্যাগাজিন ‘দপ্তরনামা’-র প্রথম সংখ্যা |

এরকম আরও অনেক কথা নিয়ে পাঠকের দপ্তরের সাথে আমার আড্ডার লেখনীরূপ ধরে তুললাম আমার এই ব্লগে | আশা করি আপনাদের এই সাক্ষাৎকার পড়তে ভালো লাগবে এবং পাঠকের দপ্তর সম্পর্কিত কিছু অজানা তথ্য জানতে পারবেন |

চলুন, জেনে নেওয়া যাক কলকাতার বুকে নবীন প্রজন্মের হাত ধরে গড়ে ওঠা এই বইপ্রেমের আখড়ার কিছু জানা-অজানা কথা |

স্বর্ণালী: পাঠকের দপ্তরের কাছে অনুরোধ করবো আমার ব্লগের পাঠকদের কাছে পাঠকের দপ্তরের পরিচয় দেওয়ার জন্য |

পাঠকের দপ্তর: পাঠকের দপ্তর বাংলা বইপ্রেমীদের স্বাধীনভাবে বই সংক্রান্ত আলোচনার একটি স্বতন্ত্র প্ল্যাটফর্ম। গ্রুপের আলোচনায় বাংলা বইয়ের অগ্রাধিকার থাকে। সদস্যরা নিজস্ব লেখালেখিও চ্যাট বক্সে সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারেন। প্রতি মাসে BOTM অর্থাৎ Book of The Month আয়োজিত হয় যেখানে ১০-১৫ টি পৃথক পৃথক বাংলা বইয়ের মধ্যে থেকে সদস্যরা ভোটের মাধ্যমে বেছে নেন একটি বই এবং সেটা যারা পড়তে ইচ্ছুক তারা সবাই মিলে সেই নির্দিষ্ট মাসের মধ্যে পড়া হয়। BOTM গ্রুপে চলে বইটি নিয়ে আলোচনা, প্রশ্ন-উত্তর আরো অনেক কিছু। নির্ধারিত সময়ের পর সবাই বইটির পাঠ প্রতিক্রিয়াও পোস্ট করতে পারেন। এতে বাংলা বই পড়ার অভ্যাস তৈরি হয় বা বজায় থাকে।

এছাড়াও একটি ফ্রি লাইব্রেরী সিস্টেমও আমরা তৈরী করেছি আমাদের সদস্যদের জন্য, যেই সংগ্রহ থেকে প্রতি মিট আপে বই আদান প্রদান হয় সবার মধ্যে। এই মুহূর্তে আমাদের লাইব্রেরীতে ২৭টি বই আছে । কেউ চাইলে সেখানে বই দান করতে পারেন আমাদের সদস্যদের পড়ার জন্য। তবে নির্দিষ্ট কোনো জায়গায় নয় এই লাইব্রেরী। অ্যাডমিনদের কাছেই বই থাকে এবং প্রতি মিট আপে যারা যেই বই নিয়ে পড়তে ইচ্ছুক তারা নেন, পরের মাসে ফেরত দেন।

সম্প্রতি, আমরা এই দপ্তরের এক বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দীপাবলিতে গ্রুপের একটি নিজস্ব ম্যাগাজিন প্রকাশও করেছি । ম্যাগাজিনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘দপ্তরনামা’ |

পাঠকের দপ্তরের প্রথম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে দপ্তরনামার প্রথম প্রকাশ

স্বর্ণালী: পাঠকের দপ্তরের যাত্রা কবে এবং কিভাবে শুরু হলো? এই গ্রুপটার বয়স কত? এই বইসংক্রান্ত গ্ৰুপটির কর্মকান্ডের পিছনে মূল কান্ডারীদের নাম কী?

পাঠকের দপ্তর: পাঠকের দপ্তরের যাত্রা শুরু ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ থেকে। ফেসবুকে অনেক বইয়ের গ্রুপ থাকলেও বাংলা বইকে প্রাধান্য দিয়ে একটা স্বতন্ত্র বুকক্লাব তৈরি করার চেষ্টাতেই এই যাত্রা শুরু। প্রথমদিকে অ্যাডমিন ও মডারেটর হিসেবে ৫ জন থাকলেও (স্বর্ণালী, মোহনা, মনোলীনা, দিয়া, আকাশ), বর্তমানে গ্রুপের সমস্ত কাজকর্ম আমাদের ৬ জন অ্যাডমিন দায়িত্ব নিয়ে সামলায় – স্বর্ণালী, দিয়া, সুপ্রতিম, মনোলীনা, সৃজন, অর্পিতা। এছাড়া গ্রুপের অনেক সদস্যদের থেকেও আমরা নানা গঠনমূলক সাজেশন ও সাহায্য পেয়েই থাকি।

(পাঠকের দপ্তরের অন্যতম সদস্যা হওয়ায় আমি এই কথাটিকে পূর্ণ সমর্থন করি | শুধুমাত্র এডমিন্সরা নন, অন্যান্য সদস্য এবং সদস্যরাও একইভাবে পাঠ-সংক্রান্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এবং সকলে মিলে একটি পরিবারের মতোই এই গ্ৰুপকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় |)

পাঠকের দপ্তরের মূল কান্ডারী (বাঁদিক থেকে): সৃজন, সুপ্রতিম, অর্পিতা, স্বর্ণালী, মনোলীনা এবং দিয়া

স্বর্ণালী: পাঠকের দপ্তরের বর্তমান সদস্য সংখ্যা কত এবং এই গ্ৰুপের বর্তমান সদস্যদের মধ্যে সর্বজ্যেষ্ঠ এবং সর্বকনিষ্ঠ সদস্যদের বয়স কত?

পাঠকের দপ্তর: WhatsApp গ্ৰুপের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৭১৮ (এই ব্লগ পোস্টটি লেখার সময় পর্যন্ত) | Instagram এর পরিবারের সদস্য সংখ্যা ২৪৭০ |

সর্বজ্যেষ্ঠ সদস্যের বয়স ৬০ এবং সর্বকনিষ্ঠ ১৪।

স্বর্ণালী: আমি আপনাদের অনুরোধ করবো কিভাবে গ্রুপের সদস্যরা বইসংক্রান্ত আলোচনা করেন সেই বিষয়ে আমার ব্লগের পাঠকদের অবগত করানোর জন্য, এবং যদি কেউ এই গ্ৰুপে যুক্ত হতে আগ্রহী হন তাহলে তাদের কি করণীয় সেই ব্যাপারেও যদি একটু বলেন তাহলে খুব ভালো হয় |

পাঠকের দপ্তর: গ্রুপের সদস্যরা নিজেদের নতুন কেনা বইয়ের ছবি আমাদের সাথে ভাগ করে নেন। তাদের পাঠ প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমেও সবাই অনেক নতুন পুরোনো বইয়ের সম্বন্ধে জানতে পারি। এছাড়াও গ্রুপে বেশ কিছু লেখক-লেখিকা, প্রকাশক রয়েছেন। তাঁদের মাধ্যমেও অনেক নতুন নতুন বইয়ের খবর জানা যায়। কারোর বই সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন থাকলে তাঁরা এই গ্রুপে করে থাকেন, গ্রুপের অ্যাডমিন এবং সদস্যরা উত্তর দিয়ে সাহায্য করে থাকেন। যেকোনো বইপ্রেমী মানুষই আমাদের সাথে যুক্ত হতে পারেন।

আমাদের Instagram, ফেসবুক সব জায়গাতেই প্রোফাইল আছে, সেখানে WhatsApp গ্রুপেরও লিঙ্ক দেওয়া আছে। আশা করি যে বা যারা জয়েন হতে চাইবেন তারা সব নিয়ম পড়ে, গ্রুপের পরিবেশ সুস্থ রাখার মনোভাবেই যুক্ত হবেন।

শুধু একটি সমাজ মাধ্যমের গ্ৰুপ নয় বরং একসাথে বইসংক্রান্ত আলোচনা করার জন্য প্রতিমাসে যে অনলাইন এবং অফলাইন মিট আপ করা হয় তার ব্যাপারে কিছু বলুন |

পাঠকের দপ্তর: শুধু একটি সমাজ মাধ্যমের গ্ৰুপ নয় বরং একসাথে বাংলা সাহিত্যকে বাঁচিয়ে রাখার অন্যতম প্রয়াস হলো এই দপ্তরের মূল প্রচেষ্টা |

আমাদের গ্রূপে বর্তমানে ৭০০ -এর বেশি জন পাঠক আছেন তাই আমরা প্রতি মাসেই একটা করে মিট-আপ রাখি কারণ ৭০০+ জন গ্রূপে আছে ঠিকই কিন্তু তাদের সবাই কিন্তু কথা বলেন না, অনেকে শুধুই বইয়ের খোঁজ পেতে আছেন। তাই অফলাইনেও আমরা পাঠক হিসেবে আরেক পাঠকের পাশে যাতে থাকতে পারি, তাদের সাথে নিখাদ বই নিয়ে আড্ডা দিতে পারি, যাতে এটুকু বুঝতে পারি যে পাঠক হিসেবে আমরা একা নই, আর মানুষ হিসেবেও একেবারেই নই।

মিট-আপে যা যা হয়:

কুইজ : প্রতিবারই অনুষ্ঠিত হয় কুইজ কনটেস্ট এবং বিজয়ীদের জন্যে থাকে কিছু পুরস্কার।

Book Exchange : প্রতি মিট-আপে আমাদের ফ্রি লাইব্রেরী থেকে বই নিতে পারেন উপস্থিত সদস্যরা। এছাড়াও থাকে বই নিয়ে আড্ডা, আলোচনা, গল্প, খেলা।

প্রতি মিট-আপে অ্যাডমিনদের তরফ থেকে সবার জন্য থাকে নতুন নতুন বুকমার্কস সম্পূর্ণ বিনামূল্যে, যেটা ডিজাইন বা আঁকার দায়িত্বও অ্যাডমিনদেরই, এবং মিট আপের অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের জন্য খাবারের ব্যবস্থাও থাকে।

এছাড়াও আমরা চেষ্টা করে থাকি প্রতি মিট আপে নতুন কিছু করার। লেখক-লেখিকা, প্রকাশকদেরও সংযুক্ত করতে পারছি ধীরে ধীরে। যারা অন্যান্য জেলায় থাকেন এবং অফলাইন মিট-আপে আসতে পারেন না তাদের জন্য শুরু হয়েছে অনলাইন মিট-আপও।

পাঠকের দপ্তরের মাসিক মিট আপ অনুষ্ঠানের কিছু মুহূর্ত

বাংলা সাহিত্যকে পুনরুজ্জীবিত করে তুলতে এবং বইবিমুখ জগৎকে আবার বইয়ের কাছে নিয়ে আসতে পাঠকের দপ্তরের ভূমিকা কি?

পাঠকের দপ্তর: হয়তো এখনও সেরকম কিছু নয়, কিন্তু বিশেষ করে বর্তমান প্রজন্মের কাছে বাংলা সাহিত্যকে আরো বেশি প্রাসঙ্গিক করে তোলার উদ্দেশ্যেই পাঠকের দপ্তর এক সেতুবন্ধনের কাজ করার জন্য উদ্যোগী হয়েছে। শুধুমাত্র চেনা-অচেনা বইয়ের খোঁজই না, আদতেই সেগুলো নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে আরো পাঠককে উৎসাহিত করে তোলে। ডিজিটাল মাধ্যমের কারণে শুধু নিজের আশেপাশে না, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের এমনকি দেশের বাইরেও আরো অনেক বইপ্রেমী বইবন্ধুর সংস্পর্শে আসতে পেরে বই পড়ার উৎসাহ অনেকটাই পুনরুজ্জীবিত হয় বলেই দেখা গেছে।

ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেরই বুদ্ধিদীপ্ত ব্যবহারে পাঠকের দপ্তর অনলাইন রিভিউ, BOTM বা বিভিন্ন বই বিষয়ক ইভেন্টের মাধ্যমে আরো‌ বেশি পাঠককে উৎসাহিত ও সহজে বইয়ের সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। বাংলা সাহিত্যের পুনরুজ্জীবন কেবল প্রতিষ্ঠিত লেখকদের উপর নির্ভর করে না; লেখক ও পাঠক – এই দুই শক্তিকে সংযুক্ত করাই আসল চাবিকাঠি। পাঠকের দপ্তর সেই সেতু নির্মাণ করার চেষ্টা করছে ও আগামীতেও করে যাবে।”

(আমরা সকলে আন্তরিকভাবে চাই এই সেতু নির্মাণের কাজে পাঠকের দপ্তর যেন সাফল্যলাভ করে |)

পাঠকের দপ্তরকে অনুরোধ করবো আপনাদের পক্ষ থেকে বিশ্বের সকল বইপ্রেমিকদের কাছে একটি বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য |

পাঠকের দপ্তর: পাঠকের দপ্তর বিশ্বাস করে প্রতিটি পাঠকই সাহিত্যকে জীবিত রাখে। আমরা চাই, ভাষা, দেশ বা সংস্কৃতির সীমানা ছাড়িয়ে সবাই এক হই বইয়ের বন্ধনে। পড়ুন, ভাবুন, আলোচনা করুন, বইয়ে থাকুন, ভালো মনে থাকুন – কারণ বই-ই সবচেয়ে সুন্দর মাধ্যম, যে জ্ঞান অর্জনেও সাহায্য করে আবার কঠিন বাস্তব থেকেও ক্ষণিকের মুক্তির পথ দেখায়।

(এই সুন্দর সাক্ষাৎকারটির জন্য পাঠকের দপ্তরের কাছে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই | কৃতজ্ঞতাস্বরূপ, আমি আমার এই ছোট্ট চিঠিটি পাঠকের দপ্তরকে পাঠাতে চাই |)

পুনশ্চ: আমি আমার এই ব্লগ পোস্টটি পাঠকের দপ্তরের সকলকে উৎসর্গ করলাম |

Swarnali Nath Avatar

Published by

Categories:

2 responses to “বইবিমুখ বাঙালিকে বইয়ের জগতে ফেরাতে এবং বাংলা সাহিত্যের প্রতি নতুনভাবে ভালোবাসা তৈরী করতে একদল তরুণ তুর্কির উদ্যোগে গঠিত ‘পাঠকের দপ্তর’ পূর্ণ করলো এক বছর”

  1. thebibiliophilebong Avatar
    thebibiliophilebong

    খুব খুব ভালো লাগলো পড়ে, অনেক ধন্যবাদ তোমাকে দিদি।

    Liked by 1 person

    1. Swarnali Nath Avatar

      তোমাদের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ আমায় এত সুন্দর একটা বইয়ের জগৎ আর বইপ্রেমী মানুষদের বন্ধুত্ব উপহার দেওয়ার জন্য। শুভেচ্ছা রইলো।

      Liked by 1 person

Leave a comment